আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল রোববার (৬ আগস্ট) সখীপুর-নাগরপুর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার বিকেলে গ্রেপ্তার হওয়া ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন।
আরো পড়ুন – শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
গ্রেপ্তারের পরের দিনই আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার সাড়ে ১১টায় স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে আদালতে হাজির করা হয়।
রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার কচুয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক হজরত আলীর ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৪), ফরহাদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ বাবুল (৩০), হযরত মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া (২৬), গনি মিয়ার ছেলে আসিফ (২৩), আশরাফ আলীর ছেলে শফিক আহমেদ (২৫)। সমেশ আলীর ছেলে মোজাম্মেল (৩০)।
পুলিশের বক্তব্য –
ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন জানান, গতকাল রোববার গ্রেফতার হওয়া পাঁচ যুবকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালতের বিচারক।
আজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই পাঁচ যুবককে থানা হাজতে আনা হচ্ছে।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়ায় আসামি মোজাম্মেল ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন।
আরো পড়ুন – উচ্চ আদালতেও বড়মনির জামিন স্থগিত, ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ, এর আগে গত ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে উপজেলার কচুয়া এলাকায় চাঁদের হাট কলেজে বেড়াতে যায়।
সেখান থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার দিকে তাদের পথরোধ করে কয়েকজন যুবক।
এসময় তাদের দুইজনকে আটক করে কলেজটির পাশে গজারি বনে নিয়ে যায়।
সেখানে স্বামীকে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরে খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।