টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঝড়কা বন এলাকায় নবম শ্রেণির চার স্কুলছাত্রী বেড়াতে গিয়ে অপহরণের পর তিন ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার(২৭ জানুয়ারি) সকালে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ঘাটাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক ছাত্রীর বাবা। অপহৃত চার স্কুলছাত্রী ঘাটাইল এসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঘাটাইল এসি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। সকালে ওই চার ছাত্রী স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। বের হয়ে তারা চার বান্ধবী পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারা ঝড়কা বন এলাকায় পেঁছলে তাদের সাথে বন্ধু হৃদয় ও শাহীন যোগ দেয়। পরে তারা অটোরিক্সাযোগে সাতকুয়া এলাকায় গেলে ৫-৭ জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে।
এ সময় তাদের বন্ধু হৃদয় ও শাহীনকে মারধর করে এবং তিনজনকে বনের অন্যত্র নিয়ে ধর্ষণ করে। অপর একজনকে ভাগ্নির মতো দেখা যায় বলে তাকে ধর্ষণ করা থেকে বিরত থাকে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটকে রেখে ওই তিনছাত্রীকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার ধর্ষিত তিনজনের এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. মাকসুদুল আলম জানান, ওই ঘটনায় থানায় শিশু অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধর্ষিত তিন স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনালে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা.তানভীর আহমেদ বলেন, হাসপাতালে আনার পর ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিকভাবে কিছুটা ভালো থাকলেও মানসিকভাবে তারা বিপর্যস্ত। মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ চিকিৎসক।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।