নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে ভাতিজার বউয়ের সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয় ইউপি সদস্য কাদের জোয়ারদার।
সে সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
আটকের পরে স্থানীয় জনতা তাকে ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে জনতা।
পরে গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারী) রাতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ১১টায় মদ্যপ অবস্থায় তার ২নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ডে ভাতিজা বউয়ের শ্লীলতাহানি করতে যায়।
এসময় ভাতিজা বউ বাঁধা দিলে বল প্রয়োগ করে ও বাজে ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
কিন্তু এই রাতে কাদের গৃহবধুকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
এসময় ওই গৃহবধু তার ইজ্জত বাঁচাতে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এসে কাদেরকে আটক করে ঘরের বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।
পরে ভোর হওয়ার আগেই ঐ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন তার জিম্মায় শালিশী বৈঠকের কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
এদিকে ভাতিজা বউ রাতেই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বাদী ভাতিজা বউ জানান, সে আমার সম্পর্কে চাচা শশুর। দীর্ঘদিন ধরে সে আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো, মদ খেয়ে বাড়ীর সামনে এসে মাতলামী করতো।
কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে মারতে যেতো, এরপর থেকে ভয়ে কেউ কাছে যেত না।
ঘটনার দিন তাকে জাপটে ধরে শরীরের বিভিন্ন গোপনাঙ্গে জোরপূর্বক হাত দেয়।
নিজের ইজ্জত বাচাঁতে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। পরে তাকে ধরে বসত ঘরের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে তারা।
এরপর ছানোয়ার মেম্বার এসে রাত ৩টার দিকে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে আমি থানায় মামলা করি।
ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওসির কথা –
পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদত হোসেন জানান, এর আগে তাকে অনেকবার শাসন করা হয়েছে।
সে আসলে ভাল হবার নয়। এখন মামলা হয়েছে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে, আইনি প্রক্রিয়া যা হবার তাই হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম জানান, বাদি নিজে স্বশরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করেন।
আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার