মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মাভাবিপ্রবিতে আম পাড়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার (০১ জুন) ক্যাম্পাসে আম পাড়া নিয়ে একজন আরেকজনকে চড় মারলে তা ঘটনার শুরু হয়।
জানা যায়, গত বুধবার আম পাড়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে মানিক শীলের এক কর্মী চড় মারে নিবিড় পালের অনুসারী এক শিক্ষার্থীকে।
আরো পড়ুন – ভূঞাপুরে সরকারি নির্দেশ অমান্য, ক্ষমা চাইলেন ফলদা কলেজের অধ্যক্ষের
পরে সেই দিনই নিবিড় পালের অনুসারীরা এক হয়ে মানিক শীলের রাজনীতিতে জড়িত ঐ শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
আজ শুক্রবার (০৩ জুন) মানিক শীলের অনুসারীরা নিবিড় পালের অনুসারী এক শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু ও মান্নান হলের মাঝে পেয়ে মারধর করে।
পরে নিবিড় পালের গ্রুপ এক হয়ে ধাওয়া দিলে তাদের একজন মেয়ে শিক্ষার্থীদের আলেমা খাতুন ভাসানী হলে আশ্রয় নেয়।
এরপর মানিক শীল গ্রুপের ঐ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে পাল্টা হামলা করতে বিজয় অঙ্গনে অবস্থান নেয় নিবিড় পালের প্রায় শ’খানেক কর্মী।
আরো পড়ুন – সোহেল হাজারী কোন অথরিটিতে এমপি? জানতে চান হাইকোর্ট
সেখানে শিক্ষকবৃন্দ তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে।ঐ সময় মানিক শীলের দুই-তিন জন অনুসারীকে একা পেয়ে শিক্ষকদের সামনেয় তাদের মারধর শুরু করে নিবিড় পালের অনুসারীরা।
প্রক্টর ক্যাম্পাসে না আশা পর্যন্ত শিক্ষকবৃন্দ নিবিড় পালের অনুসারীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালে তারা হলে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ক্যাম্পাসে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসের অরধান ফটকের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের একগ্রুপের কর্ণধার মানিক শীল বলেন, খুব ছোট বিষয় নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে, প্রক্টর স্যারকে জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন – ভূঞাপুরে বালুর ঘাটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ; আহত অর্ধশতাধিক
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগে অপর গ্রুপের কর্ণধার নিবিড় পালের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে প্রফেসর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি জেনে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এসময় তিনি আরো জানান, এখন পরিবেশ শান্ত আছে, আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করতেছি। সম্পাদনা – অলক কুমার