বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের এমপি পদে মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী কোন কর্তৃত্ববলে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও এমপি পদে মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মো. বুরহান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন – গ্রাম পুলিশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত শিকদার
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে মঙ্গলবার রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী; তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. বুরহান খান।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম জি সারোয়ার পায়েল, ইশিতা পারভীন ও আশিকুল হক।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
তাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর ২০১৭ সালে ওই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে খান সোহেল হাজারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরো পড়ুন – বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু করাদণ্ড
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হন তিনি।
আইনজীবীর বক্তব্য –
আইনজীবী মো. বুরহান খান জানান, হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় গড়মিল আছে; উল্লেখ করে গত বছরের ২৫ জুলাই স্পিকার বরাবর মোখলেছুর রহমান চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে বিতর্কের বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছিল।
সেটি নিষ্পত্তি না করায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। আবেদনে রিটটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুন – ঘাটাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে ফাটল, বিরাজ করছে আতঙ্ক
২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ওই রিট খারিজ করেন হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ; এবার তার সংসদ সদস্য বাতিল চেয়ে আরও একটি রিট করা হয়; ওই রিটের শুনানি নিয়ে আজ এ রুল জারি করেন আদালত।
রিটের বিষয়ে আইনজীবী মো. বুরহান খান জানান, এবার পিটিশনার সরাসরি কোয়ারেন্ট নিয়েছেন।
আমরা যেটা বলি, তার এমপির যে পোস্ট, সেটা কোন অথরিটির বলে (কর্তৃত্ববলে), এটা চ্যালেঞ্জ করে কোয়ারেন্ট করা হয়; কোর্ট এনিয়ে রুল ইস্যু করেছেন।’
তিনি আরো জানান, ‘আদালতে রিট আবেদনটি করেছিলেন আমার চেম্বারের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন।
আর সিনিয়র কাউন্সিলর হিসেবে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।’ সম্পাদনা – অলক কুমার