ঘাটাইলে যথাযথভাবে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পর একটি র‌্যালি করার মাধ্যমে এবং উপজেলা মিলনায়তনে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে কোন আলোচনা সভা হয়নি। করা হয়নি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ। অন্যান্য বছর বিভিন্ন কর্মসূচি ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধারা এ দিবসটি পালন করতেন। সে পরিবেশ লক্ষ্য হয়নি এ বছরে আজকের দিনটিতে। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলনা আনন্দ ও উদ্দীপনা, ছিল সর্বত্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ।

ইতিপূর্বে সরকারি বেসরকারি অফিস, শহরের বিভিন্ন দোকানপাটে জাতীয় পতাকা উড়তো অথচ আজকের এ গুরুত্বপূর্ণ দিবসটিতে ঘাটাইলের কোথাও উঠেনি জাতীয় পতাকা। যা চরম অবমাননাকর এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার সামিল।

উপজেলা মিলনায়তনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে একমাত্র স্থানীয় এমপি আতাউর রহমান খান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখলেও উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়রসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক নেতৃবৃন্দ কাউকে বক্তৃতার সুযোগ দেয়া হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী হীরা বলেন, অচল পয়সার মূল্য আছে আজকের পরিবেশ দেখে মনে হলো মুক্তিযোদ্ধাদের কোন মূল্য নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দল সৃষ্টি করায় এহেন অবস্থা আমাদের দেখতে হচ্ছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এবারই দেখলাম ঘাটাইল উপজেলার সকল কর্মকান্ড রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় পালিত হচ্ছে। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আলোচনার সমালোচনার ঝড় বইছে। ১০ ডিসেম্বর ঘাটাইলে হানাদার মুক্ত দিবস যে দায়সাড়াভাবে পালিত হলো এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হলো এমন নজির ইতিপূর্বে দেখিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, দিবসটি জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে পালনের জন্য আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা চেয়েছি তারা এগিয়ে আসেননি।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম লেবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান খান, সরকারি জিবিজি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল আলম মনি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. তোফাজ্জল হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার শাহনেওয়াজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা সুলতানা (শিল্পী), সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মিয়া, এমদাদুল হক খান হুমায়ুন প্রমুখ।