ঘাটাইলের আষাড়িয়া চালা এক জনসভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন

‘চাটুকার এমপি মন্ত্রী হওয়ার চাইতে মাইনসের বাড়িতে রাখাল হওয়া অনেক ভালো’

জনসভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

ঘাটাইল প্রতিনিধি : আমি রাজনীতি করি সম্মানের জন্য। অনেকে রাজনীতি করে এমপি হবে, মন্ত্রী হবে।

ওইরকম চাটুকার এমপি হওয়া, মন্ত্রী হওয়ার চাইতে মাইনসের বাড়িতে রাখাল হওয়া অনেক ভালো।’

তিনি বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘাটাইলের আষাড়িয়া চালা শওকত আলী ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সব কিছুর দাম কিন্তু বাড়ল এহনি। আমি এখন বিএনপিকে দেখতি পাড়িনা, বিএনপি খালি সরকারে যাবার চায়।

চাইলের দাম যে বাড়ল, তেলের দাম বাড়ল, পেট্রোলের দাম যে বাড়ল একদিনও বিএনপিকে রাস্তায় চিত হইয়া শুইতে দেখালাম না।

আমি কোনো প্রেম করি নাই, আমার প্রেম বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। আমি রাজনীতিতে এসেছি বঙ্গবন্ধুকে দেখে।

তা না হলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হইতাম, গরুর রাখাল হইতাম। যতদিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে বাঁচব।

বিএনপির এক নেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল, তাই আমি তাকে বলব, যাদের এই দেশে ভালো না লাগে, পাকিস্তান চলে যান তাড়াতাড়ি।

মরি বাঁচি সুখে থাকি, দুঃখে থাকি, দেশেই থাকব। আমি ভুল করতে পারি, জেনে শুনে কোনো অন্যায় করিনি। রাষ্ট্র নায়ক, নেতা হওয়া বড় কঠিন কাজ।

আলেম দিয়া যেমন দোজক শুরু করবেন, বেহেস্ত শুরু করবেন, আলেমের পরে তেমনি রাষ্ট্র নায়ক দিয়াও বেহেস্ত-দোজক ভর্তি করবেন আল্লাহ।

মানুষের সেবা না করলে তাঁর দোজক হবে, একবারে বান্দা। এই হবে মানুষের দেশ। মানুষ হবে দেশের মালিক।

কিন্তু আজ দেশের মালিক দারুগা পুলিশরা মালিক, অফিসাররা মালিক, যারা চুরি কইরা টাকা কামাইছে আজ তারা মালিক।

আমরা এ দেশ চাইনা, চুরি করার জন্য জন্মাই নাই, মানুষের সেবা করার জন্য জন্মেছি। একবার শক্ত করে গামছাটা ধরুণ আপনাদের সম্মান বাড়বে।

ঘাটাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান সরকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের টাঙ্গাইলের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম সরকার লাল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম আবু সালেক হিটলু, ঘাাটইল উপজেলার সভাপতি আব্দুল হালিম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, ধলাপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল হায়দার প্রমুখ। সম্পাদনা – অলক কুমার