ছেলের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ডের কাছে মায়ের অভিযোগ; ১৫ দিন পরও অকার্যকর

বাসাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইলে সরকারি সড়ক ঘেঁসে ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে।

সরকারি সড়ক ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় মাটি কাটা বন্ধে তার “মা” উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন।

আবেদনের ১৫ দিন পার হলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যৌতুকী গ্রামে।

জানা যায়, উপজেলার যৌতুকী গ্রামের বালু ব্যবসায়ী মেহেদী মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজার ও ভেকু মেশিনের মাধ্যমে মাটি কেটে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।

প্রভাবশালী হওয়ায় সবাই তাকে ভয় পায়। সম্প্রতি কাঞ্চনপুরের কালাচানপাড়া-বারকাটি সড়কের যৌতুকী এলাকায় সড়ক ঘেঁসে ভেকু দিয়ে মেহেদী মাসুদ তার নিজস্ব জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি শুরু করে।

প্রায় ২০ ফিট গর্ত করে দু’পাশ থেকে মাটি কাটায় হুমকিতে পড়েছে সড়কটি।

এমতাবস্থায় মনোয়ারা বেগম সড়ক ভেঙে যাওয়ায় শঙ্কায় তার ছেলে মাসুদকে মাটি কাটতে নিষেধ করে। কিন্তু মাসুদ নিষেধ অমান্য করে মাটি কাটতে থাকে।

এরপর মাসুদের মা মনোয়ারা বেগম গত ১০ মার্চ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

এই আবেদনের পরও রহস্যজনক কারণে দেদারছে চলছে মাটি কাটা।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমাদের জমি ঘেঁসেই সরকারি সড়ক রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে।

আমার বড় ছেলে মাসুদ ওই সড়ক ঘেঁসে দু’পাশে প্রায় ২০ ফিট গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে।

এভাবে মাটি কাটলে বর্ষায় সড়কটি ভেঙে যেতে পারে। প্রথমে আমি মাসুদকে বাঁধা দিয়েছিলাম। কিন্তু মাসুদ সেটি শুনেনি।

এজন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। তারপরও মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। এখনও মাটি কাটা চলছেই।’

তিনি সরকারি সড়কটি রক্ষায় দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযুক্ত মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘আমার জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সড়ক ঘেঁসে এটা ঠিক। আমার দুই ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে মা আবেদন করেছেন।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিয়ান নুরেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে তহশিলদারকে পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে আমাদের অগোচরে আবার চালু করে। এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সম্পাদনা – অলক কুমার