জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

নাগরপুরে জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

নাগরপুর প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগষ্টে সকল শহীদের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দপ্তিয়র নজির আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- দপ্তিয়র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন- সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক খোরশেদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তারেক শামস খান হিমু।

উদ্বোধন করেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. কুদরত আলী।

সভায় বক্তব্য রাখেন, দপ্তিয়র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রামাণিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শাহ জাহান সিরাজ পান্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগষ্টে পরিবারের সকল শাহাদাৎ বরণকারী সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।

কিছু বিপথগামী ও দেশদ্রোহী সেনা সদস্য ১৫ আগষ্টে ও বিএনপি জামাত সরকার ২১ আগষ্টে জাতিকে কাঁদিয়েছে; জাতিকে করেছে এতিম।

২১ আগষ্ট মানবতার মা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাঁর প্রাণ কেড়ে নিতে চেয়েছিলো।

আসুন আমরা শপথ করি, আগষ্ট মাসের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে নৌকাকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।

আর এ লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করে যাবো। দেলদুয়ার-নাগরপুরের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বিএমএম জহিরুল আমীন, সম্মানিত সদস্য মো. মশিকুর রহমান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, দপ্তিয়র ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ।

পরে জাতির পিতাসহ পরিবারের অন্যান্য শাহাদাত বরণকারী সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।