টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তি জামিনে মুক্ত

টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তি জামিনে মুক্ত

আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে শহরের কলেজপাড়ার বাসায় ফেরেন তিনি।

বিকেলে টাঙ্গাইলের জেল সুপার মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উচ্চ আদালতের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে সব নিয়ম মেনে দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এরআগে সোমবার (২০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

সাবেক মেয়র মুক্তির আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আব্দুল মুনতাকিম জানান, বিচারকদ্বয় টাঙ্গাইলের ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র মুক্তির ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।

তার ভাই আমানুর রহমান খান ওরফে রানা ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার কলেজ পাড়া বাসার কাছ থেকেই তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

পরে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্ট আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তৎকালীন টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা ও বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে সহিদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি আমানুর রহমান খান রানা ও অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।