টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলায় ৩ আসামি স্বেচ্ছা জবানবন্দি

ধর্ষণের স্বীকারোক্তি

আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ডাকাত দলের ৩ সদস্য ও ধর্ষক রাজা মিয়া, মো. আব্দুল আউয়াল ও নুরনবী স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ছয়টায় তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন ও সামছুল আলমের বেঞ্চে তোলা হয়।

পরে তারা দুই ঘণ্টা ধরে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ।

আরো পড়ুন – আগুন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে বাসাইলের জশিহাটি গ্রামের মানুষের

তিনি জানান, আসামি রাজা মিয়া ও আব্দুল আউয়াল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল আলম এবং নুরনবী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুনের কাছে জবানবন্দি দেন।

আসামিদের জবানবন্দি শেষে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ও শুক্রবার (৫ আগস্ট) ভোর রাতে টাঙ্গাইল শহর থেকে রাজা মিয়া ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে আউয়াল এবং নুরনবীকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, বাস ডাকাতির শুরুতে রাজা, ঈগল পরিবহনের বাসটির চালককে সরিয়ে নিজে বাসটি চালানোর দায়িত্ব নেন।

আরো পড়ুন – সখীপুরে বৃদ্ধা মাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়েছে কুলাঙ্গার সন্তানরা

পরে ভোররাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায় যাত্রীসহ বাসটি ফেলে দিয়ে ডাকাতির মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

ডাকাতি ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় বাসের যাত্রী হেকমত আলী অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মধুপুর থানায় মামলা করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার