ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাড়কের যানজটপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

মির্জাপুর প্রতিনিধি : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজটপ্রবণ খ্যাত মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের ৪শ মিটার রাস্তায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

নিত্যদিনের এই যানজটের ঘটনা গত প্রায় তিন মাস ধরে চলে আসছে।

এতে এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী ১৮টি জেলার লাখো যাত্রীকে ওইস্থানে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

কোন কোন দিন এই যানজট দিনব্যাপীও স্থায়ী হয় বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

যানজটের কারণ জানতে সোমবার সকালে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি মহাসড়কের ওই অংশ পরিদর্শন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চারলেন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাক হোসেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জুবায়ের হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ।

চারলেন প্রকল্পের পরিচালক মো. ইসহাক হোসেন জেলা প্রশাসককে যানজটের কারণ ব্যাখা করে জানান, মহাসড়কের ওইস্থানে ৩৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.২ মিটার প্রস্থ উড়াল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।

কিন্ত মহাসড়কের ওই স্থানের উভয় পাশের অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য এখনও পরিশোধ হয়নি।

এজন্য মহাসড়কের উভয় পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকগণ তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বিলম্ব করছেন।

সার্ভিস লেন তৈরি না করেই উড়াল সেতুর নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

ফলে নিত্যদিন এই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে যানজটের কারণে উড়াল সেতু নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত কর্মীরাও ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না।

এ জন্য কিছু কর্মী ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান তিনি।

প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, মহাড়কের ওইস্থানের উভয় পাশের স্থাপনাগুলো যথাসময়ে সরিয়ে নেয়া হলে দ্রুত দুই পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

এতে উড়াল সেতুর কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার পাশাপাশি নিত্যদিনের যানজটও সৃষ্টি হবে না বলে তিনি দাবি করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকগণ যাতে দ্রæত তাদের ক্ষতিপুরণের টাকা পেতে পারেন তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি যানজট নিরসনে সকলকে আন্তরিক হয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার