দেড় বছর পর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওভোগ দক্ষিনপাড়া এলাকার ক্লু-লেস হযরত আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত হযরত আলীর নাতি আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে পিবিআই।

পিবিআই জানিয়েছেন জায়গা জমির ভাগ বাটোয়ার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাপ-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আর এ কারনেই এই হত্যাকান্ড।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় হযরত আলী ও তার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর এবং নাতি আসিফ কুমুল্লির বিলে নিজেদের জায়গায় পানি সেচে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকেই নিখোঁজ হয় হযরত আলী।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই

পরে ২০২১ সালের ৩ মার্চ সকালে বাদীর চাচাতো ভাই মোস্তফা ঘটনাস্থলের পাশে ইরি ক্ষেতে সার দিতে গিয়ে দূর্গন্ধ পায়।

সেখানে ক্ষেতের পাশে পুকুরে কচুরী পানার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পায়।

এসময় তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে; পরে বাদী মো: সুজন মোল্লা তার পিতার লাশ সনাক্ত করে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে।

পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিনের দিক নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবির ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই (নি:) মো: ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি এলাকা থেকে মো: আসিফ (১৮) কে গ্রেফতার করা হয়।

আরো পড়ুন – ‘চেয়ারম্যান টেহা নিলো, ঘর তো দিলো না!’

আসিফের স্বীকারোক্তি –

গ্রেফতার হওয়া আসিফ জানায়, ডিসিস্ট হযরত আলী, সে ও তার মামা জাহাঙ্গীর মোল্লা ঘটনার রাতে মাছ ধরতে যায়।

পরে জাহাঙ্গীর পিছন থেকে তার বাবা ডিসিস্ট হযরত আলীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে।

এসময় আসিফকে তার মামা জাহাঙ্গীর হত্যার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং লাশ গুম করার জন্য সহযোগিতা করতে বলে।

লাশ গুম করতে যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তাকেও হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর।

পরে আফিস ও তার মামা হযরত আলীর লাশ পুকুরের এক পাশে কচুরি পানা দিয়ে ঢেকে রাখে এবং ডিসিস্টের রক্ত পানি ও কাঁদা দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখে। পরে তারা বাড়ি চলে যায়।

আরো পড়ুন –

পিবিআই আরো জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ডিসিস্টের বড় ছেলে আসামী জাহাঙ্গীর মোল্লা কারাগারে রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার