নিহত খাদিজা স্ত্রী নয় প্রেমিকা ছিল!

বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পৌর শহরের পূর্ব থানাপাড়া, বাজিতপুর রোড সাহা পাড়া এলাকার একটি বাড়িতে খাদিজা নামে এক মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় খালেক নামের এক ব্যক্তি। এর আগে গত ১৫ তারিখে খালেক এই ঘরটি ভাড়া নিয়ে সেখানে প্রেমিকা খাদিজাকে নিয়ে তোলে এবং সবাইকে বলে সে তার বিবাহিত স্ত্রী। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খাদিজা ঘাতক খালেকের স্ত্রী ছিল না, ছিল প্রেমিকা। সে বিয়ের কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারে নাই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মো. সাদিকুর রহমান।

নিহত শাবনুর আক্তার খাদিজা দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চিনাখোলা গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে। ঘাতক প্রেমিক আব্দুল খালেক (৩০) পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার আবু সাঈদের ছেলে। খবর পেয়ে শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে রাতেই ঘাতক প্রেমিক আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, ঘাতক প্রেমিক আব্দুল খালেক পেশায় গাড়ি চালক। সে বিবাহিত। আব্দুল খালেক শাবনুরকে বিয়ে করার কথা বলে অবৈধভাবে মেলামেশা করত প্রতিনিয়ত। ঘটনার দিন তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু প্রেমিক খালেক শাবনুরকে বিয়ের বিষয়টি টালবাহানা করতে থাকে। নিহত শাবনুর আক্তার খাদিজার পিতা জাকির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে খাদিজা গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরী করবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। অপরদিকে ঘাতক আব্দুল খালেকের মা জানান, গত সোমবার (১৭ আগস্ট) আব্দুল খালেক বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। তারপর থেকে তার মোবাইলও বন্ধ ছিল।

হত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরের দিকে খালেক তার প্রেমিকা শাবনুরকে গলা টিপে হত্যা করে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। সেসময় পাশের ভাড়াটিয়া তাকে দেখতে পায়। তিনি জিজ্ঞেস করলে প্রেমিক আব্দুল খালেক বলেন, আপনার ভাবী ঘুমাচ্ছে, আমি একটু বাইরে যাব, একটু পরে আসতেছি। এই কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় খালেক। সারাদিন যাওয়ার পর সবার মনে সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুলিশকে ঘটনা জানায়। পরে কাউন্সিলারের উপস্থিতিতে শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইল সদর থানার (ওসি) আরো জানান, ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক প্রেমিক আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।