সমর্থকদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকীর থানা ঘেরাও

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকীর থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয় অনুসারীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলের কালীহাতী থানা ঘেরাও করেছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

তিনি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এই থানা ঘেরাও করেন তিনি।

এসময় লতিফ সিদ্দিকীর কয়েক হাজার ভক্ত অনুসারীদের উপস্থিতিতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এতে মহাসড়কের দুই দিকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার নির্বাচনের দিন কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম বিপ্লবের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার থানায় মামলা হয়। সোমবার রাতে এ মামলার এজাহারভুক্ত দুজনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাঁরা সবাই লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থক। গ্রেপ্তার অনুসারীদের মুক্তির দাবিতে লতিফ সিদ্দিকী আজ দুপুরে থানার সামনে যান।

তিনি গ্রেপ্তার কর্মীদের ছেড়ে দিতে বলেন।

পুলিশ তাঁদের ছেড়ে না দেওয়ায় লতিফ সিদ্দিকী থানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তাঁর অনুসারীরা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।

পরে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেন।

সে সময় জানা যায়, হাসমত আলীসহ চারজনের নামে কোন অভিযোগ নাই। অভিযোগ না থাকায় ওই চারজনকে ছেড়ে দিয়ে বাকি দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়।

আদালতে পাঠানো দুইজন হলো লাট মিয়া ও মনির হোসেন। তারা উপজেলার রতনগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা।

প্রতিবাদের মুখে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও এজাহারভূক্ত আসামি হওয়ায় দুজনকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার সমর্থক হাসমত আলী নেতাকে বিনা অপরাধে থানায় আটক করে রাখা হয়েছে।

এছাড়া আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিনাশর্তে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাবো না।’

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, হাসমত এজাহারভুক্ত আসামি। বিনা অপরাধে কাউকে আটক করা হয়নি।