নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যাওয়া নিষেধ (ভিডিওসহ)

নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে যাওয়া নিষেধ

বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

বুধবার বিকেলে মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়নে আমলীতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এমন হুশিয়ারী দেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক।

তার এ বক্তব্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় বইছে।

আগামী ১৫ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মধুপুরের অরনখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রহিমের নির্বাচনী সভায় সাদিকুল ইসলাম সাদিক ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আজকে বলে দিতে চাই, ১৫ তারিখে ভোট হবে সারাদিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে।

আরো পড়ুন – এলজিইডির গাফিলতিতে নাগরপুরে জণগনের ভোগান্তি চরমে

আপনারা ভোট দিবেন; যারা নৌকায় ভোট দিবেন, তারাই কেন্দ্রে আসবেন।

আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পথে যারা বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না; আমরা কিন্তু কেন্দ্রের আশপাশেই অবস্থান করবো।

এ সময় তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ২৪শ’ আছে, যদি দুই হাজার ভোট কাষ্ট হয়; আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই।

ভিডিওতে দেখুন বক্তব্য –

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভোটার মাঝে আলোচনার ব্যপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়; এ ঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় সমলোচনার ঝড় বইছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা মঙ্গলবার উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত গোলাম মোস্তফার নির্বাচনী সভাতেও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় সাবেক এমপি আবুল কাশেমকে ছুরিকাঘাতে আহত

এ ব্যপারে আওয়ামী লীগ নেতা ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক জানান, বক্তব্যটি বিরোধী পক্ষ এডিটিং করে আমার নামে কুৎসা রটিয়েছে; এমন বক্তব্য তিনি দেননি বলে দাবি করেন।

এবিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।

তবে এখনও এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

আগামী ১৫ জুনের নির্বাচনে টাঙ্গাইল ২১ ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

এর মধ্যে মধুপুর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার