টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা

পালিয়ে প্রাণ বাঁচালেন আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হেকমত সিকদার

টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা। ছবি-১

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হেকমত সিকদারকে প্রাণনাশের চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

এসময় কৌশলে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন আওয়ামী লীগের মনোনীত এই প্রার্থী।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউনিয়নের করিমগঞ্জ নয়াপাড়া এলাকায় প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটায়।

এ ঘটনায় রাতেই গোপালপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় সাজেদা, খোদেজা, হিম্মত সিকদার, ঋতু সিকদার ও শাহানাজ পারভীনসহ অনেকেই জানান, টানা তিনবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার এলাকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় আওয়ামী বিরোধী চক্র ঈর্শ্বান্বিত হয়ে তাকে প্রাণে মারার জন্য হামলা করে।

তার স্ত্রী-ছেলে-ভাতিজিসহ তার পরিবারের সদস্য ও কর্মীদের এলোপাথারি মারপিট করে। এতে প্রায় ৮-১০ জন আহত হন।

টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা। ছবি-১

হামলার বিষয়ে হেকমত সিকদার জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনি কয়েকজন সহযোগী নিয়ে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে রাস্তায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহার, শহীদুল ইসলাম শহীদ ও শাহাদত সিকদারের ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এসময় তিনি কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তার সহযোগীদের ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।

পরে রাতের আধারে চেয়ারম্যানকে শনাক্ত করতে না পেরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভাড়াটে তিন শতাধিক দুর্বৃত্ত তার ও তার স্বজনদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকা লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আব্দুল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার