মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১০ জনকে ডিবির কাছে হস্তান্তর

আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি নৈশ কোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ ১০ আসামিকে ডিবির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র‌্যাব-১২ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে রতনসহ গ্রেপ্তার ১০ জনকে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে আনা হয়।

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১২ ও ১৪।

র‌্যাব জানায়, বাসের হেলপারের ছদ্মবেশে ২০১৮ সাল থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিল রতন হোসেন (২১)।

তিনি এ চক্রের দলনেতা। তার অধীনে ১৩ থেকে ১৫ জন্য সদস্য রয়েছে; ডাকাতির ঘটনায় দুই দফার কারাভোগও করেছেন তিনি।

দ্বিতীয় দফায় ৯ মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আসেন এবং পুনরায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করে দলনেতা হন রতন হোসেন।

ডাকাত দলের গ্রেপ্তার বাকি সদস্যরা হলেন- মো. আলাউদ্দিন (২৪), সোহাগ মন্ডল (২০), খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন (২১), আব্দুল মান্নান (২২), নাঈম সরকার (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান (১৮)।

এর আগে রাজা মিয়া, আউয়াল ও নুরনবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সব মিলিয়ে এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজা মিয়া, আউয়াল ও নুরনবী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই তিনজন বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে রয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ মামলায় গ্রেপ্তার ১০ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজ আসামিদের আদালতে তোলা হবে। এর আগে গ্রেপ্তার তিনজন কারাগারে রয়েছেন।

তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’ সম্পাদনা – অলক কুমার