মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু, টাকার বিনিময়ে সমঝোতার অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুৃপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেনীর এক ছাত্র নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নে কালিয়াকুড়ি নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রফিকুৃল ইসলাম কালিয়াকুড়ি গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং কালিয়াকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি জামালের মোড় নামক স্থানে রাস্তার পাশে বসে দশম শ্রেনীর ছাত্র রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে গেমস খেলছিল।

হঠাৎ বেপোরয়া গতিতে একটি মাইক্রো (হায়েচ) গাড়ী রফিকুলের উপর দিয়ে তুলে দেয়।

স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুলকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

গাড়ী চালক সুভকচনা গ্রামের সালেম মারাকের ছেলে ফারুক নকরেককে মদ্যপ অবস্থায় স্থানীয়রা আটক করে।

ঘটনার ধামাচাপা দিতে তরিঘড়ি করে স্থানীয় ফুলবাগচালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, সদস্য ময়নাল হক ও মোস্তফা মিয়া পরিষদে বসে নিহতের পিতা ময়েন উদ্দিন, অভিযুক্ত গাড়ী চালক ফারুক নকরেক, তার পিতা সালেম মারাকসহ স্থানীয় আধিবাসী নেতা তুষার নকরেক মধ্যস্থতায় মাঝরাত পর্যন্ত সালিশী বৈঠক করে।

বৈঠকে নিহত রফিকুলের পিতাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার সাব্যস্ত হয়।

শনিবার কোন রকম ময়না তদন্ত ছাড়াই দুর্ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়নাল হক বলেন, সালিশের মীমাংসার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান জানেন।

ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু সালিশে মীমাংসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সালিশের সময় আমি অন্যরুমে ছিলাম; সিদ্ধান্তটি ইউপি সদস্য ময়নাল হক, মোস্তফা মিয়া, আদিবাসী নেতা তুষার নকরেক, গাড়ী চালক ফারুক নকরেক ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় মিমাংসা করেন।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি তিনি জানেন; নিহতের পিতা মামলা না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।

তবে ঘটনার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার