মির্জাপুরে ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে মানববন্ধন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিজানুর রহমান জুয়েল নামে এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার দুপুরে মির্জাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মিজানুর রহমান জুয়েল মির্জাপুর পৌর সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামের শহীদ মাজম আলীর ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র তার ও তার স্ত্রী, চাচাতো ভাই, বোন বোন জামাইসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন বিষিয়ে তুলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে জুয়েল বলেন, পোষ্টকামুরী গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া, বাছেদ মিয়ার ছেলে আজাহার মিয়া, তার ছেলে জামিল মিয়া, বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোস্তফা মিয়া গংরা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি ভয়ভীতি দেখিয়ে জবর দখল করার পায়তারা করে আসছে। জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার স্ত্রী, চাচী, বোন, চাচাতো ভাই আবুল আব্বাস ধলা, চাচা আব্দুল সালাম, বোন জামাই মো. আলী হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা ও নানা অভিযোগ এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ সাংসারিক সুখ-শান্তি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম রাশেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ওয়াজেল আলী, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

তিনি বলেন, গত ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সুচতুর লাল মিয়া ও আজাহার গংরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সমাবেশের পূর্বে ব্যানারে খুনি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুসহ আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ লেখে তাদের একাংশের সামনে ধরে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। পরে এ সংক্রান্ত খবর স্থানীয় একটি পত্রিকা ও একাধিক অনলাইনে প্রকাশিত হয়। যা তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা এভাবে ষড়যন্ত্র করে এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দিয়ে আমাদের পারিবারিক জীবন বিষিয়ে তুলেছেন। এই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।