রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও আলোকিত থাকে ঘাটাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয়েছে ২০ কিলোওয়াটের সোলার এসি সিস্টেম ইউনিট। এক সময় রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বা লাইনে কারিগরি ত্রæটি থাকলে বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকতো হাসপাতালটি। কিন্তু সৌরবিদ্যুৎ সেই কষ্ট দূর করে দিয়েছে। এখন রাতে বিদ্যুৎ না থাকলেও সোলারের আলোয় আলোকিত থাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে হাসপাতালের রোগীদের আর অন্ধকারে থাকতে হয় না।

তবে এম্বুলেন্স না থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রায়ই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন সূত্রে জানা যায়, ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ কিলোওয়াটের সোলার সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সোলার এসি সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপিত হয়েছে। এখানে সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে ৬৪টি এবং ব্যাটারি স্থাপন করা হয়েছে পরিমাণমতো। এই ইউনিট থেকে ৫৯টি ফ্যান, ৭১টি লাইট ওটি রুম, ল্যাব রুম ও কম্পিউটার রুমসহ হাসপাতালের সকল কার্যক্রম সোলার ইউনিটের বিদ্যুৎ থেকে পরিচালনা করতে পারবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সোলার এসি সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপনের ধারণাটি আমি আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের সচিব মহোদয়ের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম থেকে পেয়ে উৎসাহিত হই। সেই মোতাবেক ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসি সোলার সিস্টেম ইউনিটটি স্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে এলাকায় সাড়া ফেলেছে।

হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শহিদুল ইসলাম প্রতিবেদক মোঃ খায়রুল ইসলামকে বলেন, আগে বিদ্যুৎ না থাকলে রোগের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হতো এখন সে কষ্ট দূর হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. সাইফুর রহমান খান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোলার এসি সিস্টেম ইউনিট স্থাপনের ফলে হাসপাতালের সকল কাজ নিশ্চিন্তে করা যাচ্ছে। বিশেষ করে হাসাপাতালের অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যুতের টেনশনে থাকতে হয় না। নির্বিঘে্ন অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর চালাতে হয় না, যার কারণে জ্বালানি খরচ হয় না এবং বিদ্যুৎও খরচ কম হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও সোলার প্যানেল পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার থেকে উৎসাহিত হয়ে আমরা ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।