রিজেন্টে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস সৃষ্ট রোগ কোভিড- ১৯ এর রিপোর্ট নিয়ে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ, তাদের টাকা ফেরত এবং অন্তবর্তীকালীন ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন চিলেড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডশের পরিচালক অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসানের পক্ষে সংগঠনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম রবিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনটি করেন।

ইশরাত হাসান জানান, কার্যতালিকায় আসলে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

তিনি জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল ছাড়াও অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানে কোভিড টেস্টের নামে লোকজন প্রতারিত হয়েছেন তাদেরও টাকা ফেরত এবং অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় বন্ধে একটি তদারকি সেল গঠন, দেশের সব বৈধ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালের তালিকা প্রকাশ এবং প্রতিটি থানায় স্বাস্থ্য তদারকি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।

এর আগে গত ১৯ জুলাই এ-সংক্রান্ত আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির প্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশ এবং তাদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা চাওয়া হয়।

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম, হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উদ্দেশ্যে ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়। এ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে আসেন আইনজীবী।

গত ৬ জুলাই রাতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালানোর পর সেখানে করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির প্রমাণ পায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরদিন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। গত ৭ জুলাই হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরশাখার কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণার পাশাপাশি উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়। ১৫ জুলাই ভোরে সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোনালী/এমই