নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকায় ঘরের ভিতর থেকে শিশুর কান্না শুনে ঘরে ঢুকে আবু সাঈদ (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে।
বিশ্বাস বেতকা মুন্সীপাড়া এলাকার হুমায়ন এর বাড়ি থেকে পাওয়া আবু সাঈদের লাশটি উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ।
পাশেই কান্না করছে ৬ মাসের কন্যা শিশুটি। ২য় স্ত্রী হৃদয় বানু পলাতক।
আবু সাঈদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার উত্তর তারুটিয়ার ওমর আলীর ছেলে। পলাতক ২য় স্ত্রী হৃদয় বানু (৩৪) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার জয়তুন নেছার মেয়ে।
আরো পড়ুন – সখীপুরের ৭ ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা
প্রতিবেশীরা জানায়, গত ছয়মাস যাবত তারা এখানে ভাড়া এসেছে। কয়েকদিন পর পর জামাই এখানে আসতো।
জামাই আসলেই মাঝে মাঝেই তাদের ঘর থেকে ঝগড়ার শব্দ পাওয়া যেতো। গতকালকেই জামাই এসেছিলো কিন্তু গতরাতে তাদের কোন ঝগড়ার শব্দ পাওয়া যায়নি।
সকালে শিশুটার কান্নার শব্দ পাই। বাহির থেকে দরজা লাগানো ছিলো। পরে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা : প্রতিষ্ঠাতা রিপনের ফাঁসির দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. সরোয়ার হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি; এসে দেখি মৃত দেহের পাশে ৬ মাসের শিশু কান্না করছিলো।
তিনি আরও বলেন, কান্নার শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা দরজা খুলে উঁকি দিলে মেঝেতে লাশ দেখে আমাদের খবর দেয়।
প্রাথমিক ধারনা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ২য় স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
তদন্ত করছি কে হত্যা করেছে তদন্ত চলমান আছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার
লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার