কালিহাতীতে নিলাম বালুর আড়ালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি

কালিহাতীতে নিলাম বালুর আড়ালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি

কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিলামকৃত বালু বিক্রির নামে দেদারছে সরকারি বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে।

ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, হুমকিতে রয়েছে নদী তীরবর্তী বসতিরা আর দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ সাধারণ মানুষদের।

জানা যায়, উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের জোকারচর এলাকায় ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল (খননকৃত) ২৬,৯১,৭৪৩.২৮ ঘনফুট বালু উপজেলা প্রশাসনের নিলামে ২.৫০ টাকা দরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে জনৈক আব্দুল্লা আল নজির ৬৭,২৯,৩৫৮.২০ টাকায় ক্রয় করেন।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা : প্রতিষ্ঠাতা রিপনের ফাঁসির দাবিতে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার

নিলামকৃত বালু স্থানান্তরের জন্য নিলাম গ্রহীতা নদী থেকে উত্তোলিত সরকারি বালু স্থানীয় মাসুদ সরকার ও নুরুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করেন।

নাজিরের নামে গৃহীত দরপত্র হস্তান্তর হওয়ার প্রেক্ষিতে নিলামকৃত বালু বিক্রির নামে নিলামের বালু বিক্রি না করে খননকৃত সরকারি বালু ও ব্যক্তি মালিকানা ভূমিতে উত্তোলিত এক কোটি ১৪ লাখ ঘনফুট বালু অবৈধভাবে দেদারছে বিক্রি করছে গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম নুরু ও স্থানীয় প্রভাবশালী বালু খেকো গং।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও মাসুদ সরকার উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নিলামকৃত বালুর সাথে উত্তোলনকৃত সরকারি বালু বিক্রি করছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত উত্তোলিত বালুর বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর পুত্র বাপ্পি সিদ্দিকীর ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তিতে সংরক্ষিত ছিল।

আরো পড়ুন – কালিহাতীতে ছাত্রের বাবার হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিলামকৃত বালুর সাথে  প্রায় আট কোটি টাকার আরো এক কোটি ১৪ লাখ ঘনফুট বালু যা ইতোমধ্যেই বিক্রি করে ফেলেছেন।

এদিকে বালু ব্যবসার কারণে স্থানীয় ও চরাঞ্চলবাসী রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না।

সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে অবাধে তারা কালো টাকার পাহাড় গড়েছে বালু ব্যবসায়ীদের ওই সিন্ডিকেটটি।

যে সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত আছেন দলীয় নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় দূর্নীতি পরায়নরা কতিপয় ব্যক্তি।

বালু ব্যবসা পরিচালনা করতে তারা এলাকায় গড়ে তুলেছেন সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

সংশ্লিষ্ট ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –

পানি উন্নয়ন বোর্ডে সাইট সুপারভাইজার উপ-সহকারি প্রকৌশলী রবিউল আউয়াল জানান,বালু মেজার্মেন্ট করে কালিহাতী উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছি; ওখানে বালু বিক্রি হয় কিনা জানি না।

আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার

গোহালিয়াবাড়ি ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরু জানান, ঘটনাটি সঠিক নয়, আমরা নিলামকৃত বালুই বিক্রি করছি।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমাদের নদীর বালু অনেক জায়গায় রয়েছে।

যদি এ রকমের হয়ে থাকে তবে আমাদের চলমান মোবাইল কোটের মাধ্যামে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।