সখীপুরে সালিসে অপ্রীতিকর ঘটনা, অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে সালিসি বৈঠকে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রতিপক্ষের ভয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৬০টি ব্যবসায়ী ভয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন।

উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘের বাড়ি হামিদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় সখীপুর থানায় লিখত অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাঘের বাড়ি ও হামিদপুর দুই গ্রামের ছেলেদের মধ্যে মারামারি ঘটনায় বুধবার একটি সালিসি বৈঠক বসে স্থানীয় স্কুল মাঠে।

সালিসি বৈঠক শেষের দিকে দুই গ্রামের কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাঘের বাড়ি হামিদপুর বাজারে বাঘের বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে নিষেধ করে দেয় হামিদুপুর গ্রামের লোকজন।

হামিদপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুললেও বাঘের বাড়ি এলাকার কোন ব্যবসায়ী ভয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে নাই।

খবরবাংলা

এ ঘটনায় দুপুরে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা রফিকুল ইসলাম।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফলের দোকান, সবজির দোকান, ভাতের হোটেল, ইলেকট্রনিকস দোকান, কাপড়, কৃষি পণ্য, ডিজেল, পেট্রোলসহ বিভিন্ন দোকান সারাদিন ধরে বন্ধ।

দুই গ্রামের ছেলেদের সাথে মারামারির ঘটনায় আমরা ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

সংশ্লিষ্টদের কথা –

কাকড়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক মাস্টার বলেন, সালিসি বৈঠকের অপ্রীতিকর ঘটনায় বাঘের বাড়ি এলাকার অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, এটা খুবই অমানবিক কাজ ও লজ্জাজনক।

বাঘের বাড়ি হামিদপুর বাজার বনিক সমিতির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটলো দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে; কিন্তু বাঘের বাড়ি এলাকার ব্যবসায়ীদের দোকান-পাট বন্ধ করে দেয়া খুবই দুঃখজনক।

খবর বাংলা

তিনি আরো জানান, এতে সারাদিনে ব্যবসায়ীরা প্রায় ১০/১২ লক্ষ টাকা বেচাকেনা বন্ধ হয়।

আমরা ব্যবসায়ীরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই বিষয়টি থানায় লিখত অভিযোগ করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই এর একটা সমাধান চাই।

এদিকে বুধবার বিকেলে ওই সালিসি বৈঠক শেষে হামিদপুর এলাকার মেছের উদ্দিন (৫৮), হারুন (৪৫), মাহমুদউল্লাহ (২৮) ও মেহেদী (২৫) আহত হয়ে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেয়।

হামিদপুর এলাকার আব্দুস সামাদ মিয়া জানান, মারামারির ঘটনা সমাধানের জন্য একটি সালিসি বৈঠকে আরেকটি মারামারি ঘটনা ঘটছে।

তাই বাঘের বাড়ি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বলা হয়েছিলো, আর যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই তোমরা দোকানগুলো বন্ধ রাখেন, এই সমস্যাটা সমাধান হোক।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে কিছু না বলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছে।

আমারাও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইনের মধ্যে দিয়েই এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

সখীপুর থানার ওসি মো. রেজাউল করিম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার