সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়িতে থেকে চুরি যাওয়া রড-সিমেন্ট উদ্ধার

সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে চুরির মাল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুরি যাওয়া বিপুল পরিমাণ রড-সিমেন্ট ওমর ফারুক নামের এক সাবেক ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকুশিয়া এলাকা থেকে এসব রড-সিমেন্ট উদ্ধার করা হয়।

ওমর ফারুক ১নং ওয়ার্ড ব্রাক্ষণকুশিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ও গালা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

বিষয়টি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার

১নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য রকিবুর রহমান খান তন্ময় বলেন, ‘ব্রিজের কাজে আনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চুরি যাওয়া বেশ কিছু রড ও সিমেন্ট সাবেক ইউপি সদস্য ওমর ফারুকের বাড়িতে পাওয়া গেছে।

বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি একজন ইউপি সদস্য হয়ে যে চুরি করবেন এটা জানা ছিল না।’

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ঘারিন্দা-ব্রাক্ষণকুশিয়া এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডিডিএম) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে।

প্রায় এক মাস আগে নির্মাণকাজের জন্য আনা প্রায় ৪ টন রড ও বেশ কিছু সিমেন্টের বস্তা চুরি হয়।

আজ  সাবেক ইউপি সদস্য ওমর ফারুকের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া রড ও সিমেন্টের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন – প্রাণিসম্পদের মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্যাকসিনে খামারির ১৪০০ হাঁসের মৃত্যুর অভিযোগ

তবে আমরা তার বাড়িতে যাওয়ার আগেই মেম্বার পালিয়ে যান। চুরি যাওয়া রড ও সিমেন্টের দাম আনুমানিক আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা হবে।

বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেম্বারের বাড়িতে চুরির মালামাল পাওয়ার খবরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে ভিড় করেন এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

অভিযুক্ত ওমর ফারুকের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আপনারা আমার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

তবে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন – ভূঞাপুর খাদ্য গুদামের চালে পাথর! রহস্য কি?

ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য –

এ বিষয়ে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান জানান, ‘সাবেক মেম্বারের এমন চুরি করা ঠিক হয়নি।

তিনি আমাদের সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।’ সম্পাদনা – অলক কুমার