হত্যা মামলার আসামি হেকমত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ

হত্যা মামলার আসামি হেকমত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সিআইডি’র একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যাপক আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিতি পান।

২০১৮ সালের ২৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই নির্বাচনের আগের রাতে সোনামুড়ি গুপ্ত বৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুপ্ত বৃন্দাবন গ্রামের নেছার আলীর ছেলে যুবদল নেতা মালেক মিয়া নিহত হন।

এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে ঘাটাইল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।

পরে নিহত যুবদল নেতা মালেক মিয়ার পরিবারের দায়েরকৃত মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে আসামি করা হয়।

মামলাটি একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের পর সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল সিআইডি’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আকন্দ জানান, তারা ঘটনার তদন্ত শেষে রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করে।

পরে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে সিআইডি।

টাঙ্গাইল চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহাম্মেদ গ্রেপ্তার ও রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত ২ জানুয়ারি (সোমবার) রিমান্ড শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করে হেকমত সিকদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বদলির হুমকি, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, সংরক্ষিত বনের শাল ও গজারির বাগান কাটা, ক্ষমতার অপব্যবহার, বন বিভাগের জমি দখল করে লেবু ও কলা বাগান, ড্রাগন বাগান তৈরি করা, সরকারি ভূমি দখল করার অভিযোগে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

এছাড়া তিনি সাগরদীঘি এলাকার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি। সম্পাদনা – অলক কুমার