জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অসহযোগিতার অভিযোগ কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে (ভিডিওসহ)

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীর গণভোজে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে শিল্পকলার কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এই অভিযোগ করেন টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা অভিযোগে বলেন, জাতির জনকের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে সংকেত নাট্য দলের পক্ষ থেকে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গণভোজের আয়োজন করা হয়। অন্যান্য বছর শিল্পকলার কালচারাল অফিসারগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। কিন্তু এবছর বর্তমান কালচারাল অফিসার কোন প্রকার সহযোগিতা না করে, বিভিন্নভাবে অসহযোগিতা করেছেন। রান্না করা, জিনিসপত্র রাখা যায় এমন সব জায়গায় তালাবদ্ধ করে রাখেন। এমনকি পানি সরবরাহ পর্যন্ত তিনি করতে দেননি। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, তিনি অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠকের ফোন রিসিভ করেন না। তার স্বামীকে দিয়ে রিসিভ করান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মচারী তাদের প্রতি এই নির্দেশ দেয়ার কথা জানান।

এবিষয়ে টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী সচেতন নাগরিক ফোরামের মহাসচিব ও নাট্যস্রোতের পরিচালক বিপ্লব দত্ত পল্টন বলেন, জাতির জনকের হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার কাজ শেষ করার পাশাপাশি ১৫ আগস্টের কার্যক্রমে যারা অসহযোগিতা করছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানান থিয়েটার টাঙ্গাইলের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর খান।

সেখানে উপস্থিত শিল্পকলার আজীবন সদস্য, নৃত্য ও অভিনয় শিল্পী, “আমরা করব জয়” নাট্যদলের সভাপতি এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিনু আনাহলী বলেন, টাঙ্গাইল শিল্পকলার পক্ষে এই ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। এসময় তিনি বলেন, শিল্পকলা ও শিল্পকলার কালচারাল অফিসার যদি এই অবস্থা হয়, তবে আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীরা কোথায় যাব? তিনি সকলের পক্ষে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। https://youtu.be/7DANj8FcoJc

এই বিষয়ে টাঙ্গাইল করোনেশন ড্রামাডিক ক্লাবের সহ-সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম বলেন, আজকে জাতির জনকের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে শিল্পকলার কালচারাল অফিসারের বিরুদ্ধে যে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত ঘৃণিত। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংকেত নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাকির হোসেন, পিসি সরকার সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম মানিক, নাট্য ও গণমাধ্যমকর্মী অলক কুমার দাস, মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা শেলীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মীরা। https://youtu.be/7DANj8FcoJc

এবিষয়ে টাঙ্গাইল শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার খন্দকার রেদুয়ানা ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে দুইবার উনার স্বামীকে দিয়ে রিসিভ করান। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের একজন সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন এবং উনার সম্মতি পাওয়ার পর কালচারাল অফিসার প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।