আদালত প্রতিবেদক : গত বুধবার (৩ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১২ ও র্যাব-১৪ এর যৌথ দল অভিযান চালিয়ে আরো ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাবের এই যৌথ দল।
ডাকাত দলের গ্রেপ্তারকৃত ১০ সদস্য হলেন- মো. রতন হোসেন (২১), মো. আলাউদ্দিন (২৪), সোহাগ মন্ডল (২০), খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন প্রামাণিক (২১), আব্দুল মান্নান (২২), নাঈম সরকার মুন্না (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার ওরফে রায়হান (১৮)।
আরো পড়ুন – মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ১০ জনকে ডিবির কাছে হস্তান্তর
এরপর গত রাত (০৮ আগস্ট) সাড়ে ৮টার দিকে তাদের টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ১০ জনের মধ্যে ৬ আসামীদের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকেলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাত।
এছাড়াও বাকি ৪ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হচ্ছে- রতন হোসেন, আব্দুল মান্নান, মো. জীবন প্রামাণিক, খন্দকার হাসমত আলী (দীপু), বাবু হোসেন (জুলহাস) ও সোহাগ মন্ডল।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই
আদালত পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য –
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ জানান, বিকেলে তাদেরকে আদালতে আনা হয়।
আদালতে ৬ জনের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়াও বাকি চার আসামী আসলাম , রাসেল, আলাউদ্দিন ও নাঈম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাত, বাদল কুমার চন্দ, মাহবুবুর রহমান ও আকরামুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ডিবি-উত্তর) মো. হেলাল উদ্দিন এর আগে সোমবার রাতে নিরাপত্তার মাধ্যমে তাদের ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল নিয়ে আসা হয়েছে।
আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার
এই মামলায় মোট গ্রেপ্তার ১৩ জন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট ৭ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার