মির্জাপুরে ড্রাম ট্রাক-সিএনজি-প্রাইভেট কার সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাক, যাত্রীবাহি সিএনজি চালিত অটো রিক্সা ও প্রাইভেটকারের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জন হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

সোমবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার গোড়াই-সখীপুর সড়কের বেলতৈল বটতলা নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আজগানা ইউনিয়নের কুড়াতলী গ্রামের মৃত নওশের উদ্দিনের ছেলে হাফিজ উদ্দিন (৫৫) ও তার মেয়ে রুনা আক্তার (২৩), একই গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের ছেলে সুনাম উদ্দিন (৬৫), হাসেম আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১০) এরা দুজন সম্পর্কে নানা নাতি হয় এবং একই ইউনিয়নের ঘাগড়াই গ্রামের আ. জলিলের ছেলে জাকির হোসেন (৪০) ও সিএনজি চালক ঘাগড়াই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে হৃদয় (২০)।

আনোয়ার নামে আরো একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এছাড়া আহত প্রাইভেটকার চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে সখীপুর দিক থেকে হাটুভাঙার দিকে ছেড়ে আসা মাটিভর্তি দ্রুতগতির একটি ড্রাম ট্রাক সামনে থাকা যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে যানটিতে চাপা দেয়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটিও দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

দুর্ঘটনায় অটোটিও উল্টে দুমড়ে মুচড়ে গেলে যানটির যাত্রী হৃদয় ও মাশরাফুল ঘটনাস্থলে মারা যায়। আরেক যাত্রী সোনামকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে উদ্ধার করে কুমুদিনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান আরও তিনজন।

প্রাইভেটকারের চালক আহত রাব্বি জানান, ড্রাম ট্রাকের চালক সিএনজিকে ওভারটেক করতে গিয়ে না পেরে সিএনজিকে চাপা দেয় এবং প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে মির্জাপুরের থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সায়েদুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ড্রাক ট্রাক আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।