সখীপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের সখীপুরে বনের গাছ কেটে ও বন বিভাগের জমি দখলে নিতে নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে একটি চক্র।
উপজেলার কালিদাস বিট এলাকার কামারপাড়া ও বোয়ালী পূর্বপাড়া গ্রামে ঘর তোলার কাজ চলছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ও একটি দালাল চক্রের সহযোগিতায় বাড়িঘর হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কীর্তনখোলা কামারপাড়া এলাকায় বনের গাছ কেটে ও বনের ভেতরে নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করছেন আতোয়ার হোসেন; পাশেই আরেকটি ঘর দেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছেন।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই
এদিকে বোয়ালী পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল হাশেম বনের জমিতে ইটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে পাকা বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন।
এতে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা বাঁধা সৃষ্টি করে ও মামলা দিলেও ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই বাড়ির মালিক আবুল হাশেম।
আবুল হাশেম বলেন, বন উজাড় করে নয়, দীর্ঘদিনের পুরাতন বাড়িতে একটি টিনশেড পাকা বাড়ি নির্মাণ করছি।
আতোয়ার হোসেন বলেন, ওইখানে আমার পুরাতন বাড়ি ছিল। সেই বাড়িতেই ঘর দিয়েছি।
এসব বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বন বিভাগের হাত আছে বলে দাবি করে কামারপাড়া গ্রামের নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান, কামারপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া দীর্ঘদিনের পুরাতন বাড়িতে একটি থাকার ঘর তুলছিলো।
আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার
সেখানে কালিদাস বিটের ফরেস্টার শাহ আলম এসে বাধা দেন।
রাতের আঁধারে বাড়ির লোকজন ধরে নিয়ে যায় এবং মামলাও দেয়া হয়।
অথচ তার পাশেই বনের ভেতরে ও বনের জমিতে একটি বিশাল বাড়ি হচ্ছে। সেখানে বন বিভাগের লোকজন দেখতেও যায় না।
স্থানীয় আবদুল হাই কালু মিয়া ও লাল মাহমুদসহ কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে বন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কালিদাস বিটের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ঘরবাড়ি হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
অভিযুক্ত আব্দুল হাই কালু মিয়া ও লাল মাহমুদ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমরা মূলত সৃজিত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী।
এ ছাড়া বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের কারও কোনো সম্পর্ক নেই।
আরো পড়ুন- মোটরসাইকেল চুরি মামলার আসামি ইউপি সদস্য রাতে বিধবার ঘরে
বন কর্মকর্তার বক্তব্য –
ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজে বন বিভাগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে কালিদাস বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এই বিটে যোগদান করার পরই কয়েকটা বাড়িঘর দেয়া বন্ধ করেছি এবং মামলা দিয়েছি।
তারপরও কে বা কারা ঘর তুলছে, বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার