আপন বড় দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করল ছোট ভাই

কালিহাতী সংবাদদাতা : প্রথমে বড় ভাইয়ের স্ত্রী তারপর মেঝ ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে আপন ছোট ভাই।

পরপর দুইবার একই ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি ও এলাকাবাসীর বিরাগভাজন হয়েছেন এক মাদ্রাসা ছাত্র।

সে আপন বড় দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।

কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নে পুরবাসিন্দা গ্রামের মজিবর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র রিপন হোসেন সিদ্দিকী (২২) এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

জানা যায়, মজিবর রহমান সিদ্দিকীর ছেলে সৌদি প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন (৩৫) সাথে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ডেলুটিয়া গ্রামের ইয়ার মাহমুদের মেয়ে আরজিনা বেগমের (২০) তিনমাস পূর্বে মোবাইলের মাধ্যমে কাবিন হয়।

তার আরেক ছেলে রিপন ঢাকার একটি মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত।

সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে রিপনের সাথে আরজিনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের টানে ২ মার্চ (মঙ্গলবার) ভাবী আরজিনাকে নিয়ে উধাও হয় রিপন।

এরপর গত ৭ মার্চ রাতে রিপন তার সাবেক ভাবী বর্তমান স্ত্রী আরজিনাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়।

সেসময় এলাকাবাসী ভিড় করলে রিপন জানায়, তারা কোর্ট ম্যারেজ করেছে। তারা বৈধ স্বামী-স্ত্রী।

কিন্তু তালাক না করিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে কিভাবে বিয়ে করেছে; জানতে চাইলে পরের দিন ভোরে পালিয়ে যায় তারা।

ইতিপূর্বেও রিপন তার আপন বড় ভাই সৌদি প্রবাসী লিটন হোসেন সিদ্দিকীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।

এলাকাবাসীর চাপে তিনমাস পর রিপন ভাবীকে ডিভোর্স দেয়। একই রকমের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটায় এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ।

প্রতিবেশী সাইদ সিদ্দিকী, সালাম সিদ্দিকী, রোজিনা বেগম জানায়, মাদ্রাসায় পড়লেও রিপনের স্বভাব চরিত্র ভাল না; পরিবারের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই রিপন বারবার একই কাজ করার সাহস পাচ্ছে।

তারা আরো জানান, তার পরিবারই তাদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

রিপনের বাবা মজিবর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। রিপনকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছি। রিপনের কোন খোঁজখবর আমরা জানি না।

এ বিষয়ে পারখী ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার