অবিশ্বাস্য হলেও সত্য; টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাণ্ড

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসায় অবহেলা ও ব্যবস্থাপনায় চরম দুর্নীতির কথা এখন জেলাবাসীর সবারই জানা।

জানে না শুধু এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন যারা।

এই হাসপাতাল নিয়ে গত এক বছরে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি তাদের।

রোগীদের প্রতি অবহেলা আর গাফিলতির আরো এক ঘটনা বের হয়েছে।

সম্প্রতি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রসূতীর পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসকরা।

সিজার করে সন্তান প্রসব করালেও এক ফুট লম্বা গজ কাপড় পেটের ভেরতরেই ফেলে আসেন চিকিৎসকরা।

এরপর থেকেই তীব্র পেটে ব্যাথা করা শুরু হয়। দীর্ঘ ২২ দিন ধরে চলে ভুল চিকিৎসা। অবশেষে নাড়িতে পচন ধরে।

অবিশ্বাস্য হলেও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সত্য; আর এটা কি ভুল, অবহেলা, নাকি অজ্ঞতা উত্তর খুঁজছেন ভুক্তভোগী মা কামরুন নাহার রিনি।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বার বার শিউরে উঠছিলেন ভূক্তভোগী কামরুন নাহার রিনি। তিনি জানান, গত ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে পুত্র সন্তান জন্ম দেন।

সিজারের পরের দিন থেকেই শুরু হয় পেটে ব্যথা; যত দিন যায় ব্যথা তত বাড়ে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা সন্দেহে ২২ দিন ধরে চলে চিকিৎসা; অবস্থার আরো অবনতি হলে আনা হয় ঢাকায়।

তিনি আরো জানান, পেটে ব্যাথার কারণ জানতে সিটি স্ক্যান করা হয়। দেখা যায় পেটের ভেতরে গজ।

আবারো অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে বের হয় এক ফুট লম্বা আস্ত গজ কাপড়; সিজারের সময় ব্যবহার করা এই কাপড় বের না করেই পেট সেলাই করে দেন ডাক্তাররা।

গজ কাপড়ের সঙ্গে পচন ধরে নাড়িতেও। তাই কেটে ফেলা হয়েছে বেশ কিছু অংশ।

রিনির সিজার করেছেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তিন চিকিৎসক নেসফুন নাহার, আবিদা সুলতানা ও অপু সাহা। এ ব্যাপারে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)’র সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক’।

তবে এই বিষয়ে জানতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। সূত্র – ইন্ডিপেন্ডেন্ট; সম্পাদনা – অলক কুমার