গৃহবধূকে ধর্ষনের মামলায় টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া

আদালত প্রতিবেদক : গৃহবধূকে ধর্ষনের মামলায় টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়াকে বুধবার জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান দুপুরে সাকিব মিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

পরে তাকে  জেল হাজতে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী জিনিয়া বখ্শ জানান, ধর্ষনের শিকার ওই গৃহবধূ গত ১৬ মে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাকিব (২৪) এবং তার দুই সহযোগী সাইদুল মিয়া (৩০) ও সাহেদ (২৫)।

আদালত মামলাটি লিপিবদ্ধ করার জন্য বাসাইল থানাকে নির্দেশ দেন।

একই সময় ধর্ষিতা গৃহবধুর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করার নির্দেশও দেন আদালত।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, গত ১৪ মে দিবাগত রাতে বাসাইল দক্ষিনপাড়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে সাকিব মিয়া তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান।

তারা তার স্বামীকে ডেকে তোলেন এবং স্বামীর কাছে তারা মোটর সাইকেল চান।

মোটর সাইকেল বের করে দেওয়ার পর বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়।

পরে স্বামীকে ডেকে মোটর সাইকেল স্টার্ট দিয়ে দিতে বলেন।

স্বামী স্টার্ট দেওয়ার জন্য বাইরে আসলে সাকিব ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষন করেন।

মামলা দায়েরের পর সাকিব মিয়া গত ২১ জুন হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান। বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হন।

অপর দুই আসামী সাইদুল মিয়া ও সাহেদ গত ২৯ মে হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পান।

পরে তারা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার পর তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

তারা পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে গত ২৩ জুলাই জামিন পান।