টাঙ্গাইলে কিশোরী ধর্ষণ মামলা

আবারো আ’লীগ নেতা বড় মনির জামিন নামঞ্জুর

টাঙ্গাইল শহর আ’লীগ সহ-সভাপতি বড় মনি

আদালত প্রতিবেদক : ধর্ষণ মামলায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের জামিন আবেদন আবারো নামঞ্জুর করেছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

রোববার (২১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন।

আরো পড়ুন – আলোর মিছিলে শরিক হচ্ছেন টাঙ্গাইলের ৭৬ চরমপন্থি

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জানান, কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামী গোলাম কিবরিয়া বড় মনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন।

সেই আদেশ অনুসারে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ১৫ মে সোমবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পন করে।

পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার মিস কেসের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বড় মনির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

আদালত শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আসামী পক্ষ থেকে তার জামিনের স্বপক্ষে শুনানি করেন- বার সমিতির সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র আইনজীবী একেএম শামীমুল আক্তার শামীম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মামুন-অর-রশীদ, ব্যারিষ্টার গোলাম নবী, জোয়াহেরুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস আকবর খান জামিনের বিরোধীতা করেন।

তাকে সহায়তা করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. আব্দুল করিম মিয়া, বার সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার ফায়েকুজ্জামান নাজীবসহ ১০-১৫ জন আইনজীবী।

আরো পড়ুন – ধীরগতিতে চলছে ভূঞাপুরে প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম

বিষয় বর্ণনা –

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল এক কিশোরী বাদি হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামী করা হয়েছে।

এ দিকে অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেলেও ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড।

এছাড়াও ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার