কালিহাতীতে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে শিক্ষককে বরখাস্ত

অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে শিক্ষক কামরুলকে বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে কামরুল হাসান নামে এক শিক্ষককে ১৫ দিনের জন্য বরখাস্ত করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার গোপালদিঘী কালোহা পৌজান ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুদরত এলাহি মৌখিকভাবে এই আদেশ দেন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে গভীর রাতে ছাত্রীদের বাড়িতে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী মোল্লা অভিযোগের বিষয়গুলো নিশ্চিত করছেন।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে নতুন জাতের রঙিন ফুলকপি চাষে সফলতা

জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার গোপালদিঘী কালোহা পৌজান ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান।

তিনি স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপানোর সাথে যুক্ত থাকেন। সেই সুবাদে তিনি কম্পিউটার সেন্টার ও ছাপাখানায় যোগাযোগ করে থাকেন।

সেই সুযোগে বিভিন্নভাবে তিনি প্রশ্নপত্রগুলো নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেন। পরে সেই প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে দিয়ে থাকেন।

পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছে ধরা পড়ে বিষয়টি।

এরপর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাকে ১৫ দিন বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করেন।

এছাড়া রাত ১০টা, ১১টা বা ১২টার পরও বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বেশে কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন কালোহা, পৌজানসহ বিদ্যালয়ের আশেপাশের বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, রাত ১১টা, ১২টার সময় একজন শিক্ষক তার ছাত্রীর বাড়িতে যাওয়া শোভনীয় না।

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমিতো শুনেছি কামরুল ট্রেনিং করতেছে। এগুলোতো জানতাম না; সেজন্যই তো তিনি ৭/৮ দিন যাবত স্কুলে আসেন না।

সহকারী প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন না স্বীকার করার মতো করে। তিনি জানান, আমিও শুনেছি।

আমাকে ওই সমস্ত এলাকার কিছু লোক আমাকে জানিয়েছেন।

আর বরখাস্তের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। তবে লিখিতভাবে না, সভাপতি মৌখিকভাবেই উনাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে সাংবা‌দিককে হত্যার হুম‌কির প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য :

তবে এই বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলমকে বিদ্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, কোন লিখিত আদেশ দেয়া হয়নি, মৌখিকভাবে তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

আর গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যাওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, এটা ঠিক না। সম্পাদনা – অলক কুমার