কালিহাতীতে একরাতে তিন বাড়ীতে ভয়াবহ ডাকাতি! মোটরসাইকেল, স্বর্ণালঙ্কার লুট

ভয়াবহ ডাকাতি

কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একই রাতে তিন বাড়ীতে ডাকাতি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের বড় ইছাপুর গ্রামের মাসুদ, এলেঙ্গা পৌরসভার রৌহা পূর্ব পাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম নাহিদ ও একই এলাকার খন্দকার আসাদুজ্জামানের বাড়ীতে ঘটনাগুলি ঘটে।

খবর পেয়ে শুক্রবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দীন, সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) শরিফুল ইসলাম ও কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

আরো পড়ুন – কালিহাতিতে টিউবওয়েলের পানিতে চেতনানাশক দিয়ে চুরির চেষ্টা

ভুক্তভোগীরা জানান, রাত ২টার দিকে ইছাপুর গ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলতেছিল।

এ সময় ৫-৭ মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল মাসুদের বাড়ীতে হানা দিয়ে সবাইকে চোখ বেঁধে ফেলে।

এ সময় তারা ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৪০ হাজার টাকা ও ব্যাংকের চেকবই নিয়ে যায়।

ভূক্তভোগীদের বক্তব্য –

ভূক্তভোগী মাসুদ জানান, ডাকাত দল আবারো আমাদের বাড়ীতে হানা দিবে বলে হুমকি দিয়ে গেছে। আমিসহ বাড়ীর সকলেই আতংকিত।

একই রাতে সাড়ে ১২টার দিকে এলেঙ্গা পৌরসভার রৌহা পূর্ব পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম নাহিদ ও খন্দকার আসাদুজ্জামানের বাড়ীতে হানা দেয় ডাকাত দল।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই

এ সময় তারা নাহিদের বাড়ী থেকে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়; আসাদুজ্জামানের বাড়ী থেকে মোটরসাইল, টিভি ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় ওই ডাকাত দল।

নাহিদের স্ত্রী বিলকিস খাতুন বলেন, একদল মুখোশধারী ডাকাতরা আমার বাচ্চাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে; আমি বর্তমানে খুবই ভয়ে আছি।

খন্দকার আসাদুজ্জামান জানান, মুখোশধারী ডাকাত দল আমাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি সুজুকি (১৫০ সিসি) মোটরসাইকেল, ৩৬ ইঞ্চি এলইডি এলজি টিভি, ৮ আনি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে।

পুলিশের বক্তব্য –

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান ধারনা করা হচ্ছে একটি ডাকাত দলই উপজেলায় ৩টি ঘটনার সাথে জড়িত।

খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে।

আরো পড়ুন – কালিহাতীতে ছাত্রের বাবার হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। সম্পাদনা – অলক কুমার