টাঙ্গাইলে মা’কে হত্যাকারী ছেলে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার

মা'কে হত্যাকারী ছেলে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছেলে কর্তৃক মাকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ছেলে বাদশা মিয়া (৫৫)কে ২৭ বছর পর  গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর সদস্যরা।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী অধিনায়ক রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এক প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কালোহা এলাকার হাসমত আলীর ছেলে।

আরো পড়ুন – আমাদের দেশের বিচারপতিরা শুধু লাল টেলিফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে : হাবীব-উন-নবী খান

শনিবার মধ্য রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাদশা মিয়ার সাথে তার ছোট বোন কহিনুর বেগমের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।

১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘটনার দিন বাড়ির উঠানে বাদশা মিয়া তার ছোট বোনের সাথে ঝগড়া হয়।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছোট বোনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করতে গেলে তাদের মা নিহত তমিরন নেছা বাদশাকে থামানোর চেষ্টা করে।

তখন বাদশা উঠানে থাকা ধারালো দা দিয়ে ছোট বোন কোহিনুরকে কোপ দিতে গেলে তাদের মা বাঁধা দেয়।

এসময় বাদশা ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনার কালিহাতী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এরপর থেকে বাদশা পালাতক ছিল।

পরে নিজের নাম পরিবর্তন করেন আলী আকবর।

আরো পড়ুন – ক্যামেরা দেখে দৌঁড়ে রুম থেকে বের হয়ে যান উপ-পরিচালক

নতুন পরিচয় নিয়ে ঢাকা মহানগরের বাড্ডা এবং পরবর্তীতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার কান্দাইল এলাকায় আত্মগোপন করে।

এই মামলার বিচার শেষে ২০০৪ সালের (১৮ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালত বাদশাকে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার