টাঙ্গাইলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নিহত আলী আকবর বাপ্পী

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আলী আকবর বাপ্পী (৩৩) নাম এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পৌর এলাকার পারদিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

নিহত বাপ্পী টাঙ্গাইল পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরদিঘুলীয়া এলাকার মৃত দেলবর বেপারির ছেলে।

আরো পড়ুন – প্রাণের ভয়ে কথাও বলতে সাহস পায়না তিন ফসলী জমি হারানো কৃষক

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার (২৩ মে) রাত ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে এক বড় ভাইয়ের কল পেয়ে বাপ্পী স্থানীয় একটি মুদির দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বাপ্পির স্ত্রী আখী আখতার শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে বাপ্পির রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়।

স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, বাপ্পি টাঙ্গাইল পার্ক বাজারে মাছের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। সে বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল বাপ্পি। মাত্র তিন মাস আগে বাপ্পি এক কন্যা সন্তানের জনক হন।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বাপ্পির পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন – ধীরগতিতে চলছে ভূঞাপুরে প্রস্তাবিত ইকোনমিক জোনের কার্যক্রম

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী বাপ্পিকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে পার দিঘুলীয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুলতান উদ্দিন খান ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরোও জানান, মরদেহের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য কুপিয়ে জখম করার চিহ্ন রয়েছে।

থানায় এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে

আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। সম্পাদনা – অলক কুমার