টাঙ্গাইলে যমুনায় মাছ ধরার সময় জেলে নৌকায় ডাকাতি; আহত ৩

যমুনায় মাছ ধরার সময় জেলে নৌকায় ডাকাতি
যমুনায় মাছ ধরার সময় জেলে নৌকায় ডাকাতি

ভূঞাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় যমুনা নদীতে রাতে মাছ ধরার সময় জেলেদের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে।

এসময় জেলেদের জিম্মি করে মোবাইল ও টাকা পয়সা লুটে নিয়েছে ডাকাতদল। এ ঘটনায় ৩ জন জেলে আহত হয়েছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জন আটক

আহতরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার পলশিয়া গ্রামের মধুসূধন রাজবংশী, শুশান্ত, শাকিল, লিটন ও ঈশ্বর রাজবংশী।

বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সংলগ্ন যমুনা নদীর কালিহাতী উপজেলার বেলটিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, যমুনা নদীতে প্রতিনিয়ত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

রাতে নদীতে নৌ-পুলিশের তৎপরতা না থাকায় রাতে নৌ পথে চলাচলকারীরা ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাতে হয়।

যমুনা নদীর ওই অংশটুকু দেখভাল করে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। তবে ভুক্তভোগীরা ঝামেলার কারণে কেউ অভিযোগ দেয় না।

আহতরা বলেন, প্রতিদিনের মত বুধবার রাতে নৌকাযোগে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় মধুসূধনসহ ৬ জন জেলে।

মাছ ধরার সময় আরেকটি নৌকাযোগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮ জন ডাকাত তাদের মাছ ধরায় বাঁধা দেয়।

পরে জেলেদের পরিচয় জানার পর তাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইল লুট করে।

এসময় জেলেরা টাকা ও মোবাইল দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধর করে।

আরো পড়ুন – গোয়েন্দা পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় খড়ের নিচে লুকিয়ে রাখা ২৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

এছাড়াও জেলেদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়।

পরে জেলেদের পরিবার বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালে ডাকাতরা তাদের ছেড়ে দেয়।

জেলেদের পরিবার তাদের বিকাশ নম্বর থেকে ০১৭৩১০০৯৭৪৩ নম্বরে সেন্ডমানি করে টাকা পাঠায়।

এসময় নৌকার ইঞ্জিনে থাকা তেলও নিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে জেলেদের নৌকা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

ভূক্তভোগীদের কথা –

আহত মধুসূধন রাজবংশী বলেন, ডাকাতরা চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে সর্বস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও আমাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে বাধ্য করে।

এসময় একজনের নাম জানতে পেরেছিলাম। তার নাম রুবেল বলে অন্যরা ডাকছিল।

পুলিশের বক্তব্য –

গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, রাতে নদীতে টহল দেয়ার জন্য স্পিডবোর্ড না থাকায় সেটা সম্ভব হয় না। তবে দিনের বেলায় নদীতে টহল দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন – সাংবাদিকদের মধ্যস্থতায় নিষিদ্ধ পলিথিনের জব্দকৃত ট্রাক ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ আলমগীর জানান, যমুনা নদী থানার আওতায় পড়ে না। সেখানে সংগঠিত ঘটনাগুলো দেখভাল করে নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি।