টাঙ্গাইলে র‍্যাব পরিচয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২

দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে র‍্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার ভোরে সাতক্ষীরা ও গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ময়মনসিংহ থেকে ছিনতাইকারী চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ২২ আগস্ট দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার শুভল্লা থেকে যাত্রীবাহী বিনিময় পরিবহন বাস থেকে এক ব্যবসায়ীকে আটক করে র‌্যাব পরিচয়ে তিন ছিনতাইকারী।

তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার তার সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানার নারায়নপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সফর উদ্দিন ইসলাম মুন্না ও কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দরিগাও গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে শামীম আহমেদ সবুজ।

জানা যায়, গত ২২ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার শুভল্যা মসজিদের সামনে দুপুরে প্রাইভেটকারে চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বিনিময় পরিবহনের বাসের গতিরোধ করে।

র‍্যাবের কটি পরিহিত ৩ জন ছিনতাইকারী বাসের ভেতর উঠে র‍্যাব পরিচয় দিয়ে হেলাল মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ীকে বাস থেকে নামিয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেধে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়।

পরে তাদের প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে বেধরক মারপিট করে ও হত্যার হুমকি দেয়।

এ সময় তার কাছে থাকা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে জামুর্কী ফ্লাইওভার ব্রিজের উত্তরে ডুবাইল কবরস্থানের পাশে নামিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২৩ আগস্ট মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ২৪ আগস্ট ময়মনসিংহ থকে মুন্নাকে আটক করে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে সবুজকে আটক করে।

দুপুরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামি শামীম আহমেদ সবুজের কাছ থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার; ১টি বাঁশের লাঠি; ২টি গামছা; ছিনতাইকৃত ১ লাখ টাকা; ছিনতাইকৃত টাকা দিয়ে নতুন কেনা ১টি সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল; ১টি সিম্ফোনি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য –

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদেরকে র‌্যাব সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের বিষয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।

ছিনতাইকৃত বাকি টাকা অন্যান্য সদস্যরা ভাগ করে নেয়।

র‍্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’