গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ

দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান

গোপালপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বাক্ষরিত কাগজে বলা হয়- আমি গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

আমি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে চেয়ারম্যানের পদের দায়িত্ব পালন করতে পারছি না বিধায় আমি উক্ত পদ হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।

আমাকে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

জানা যায়, ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

তিনি টাঙ্গাইল-২ (ভুঞাপুর-গোপালপুর) আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তিনি গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন।

পরে ৩ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করেন।

সদ্য পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আমি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় আমাকে মনোনয়ন দেয়নি।

আমি তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

ভূঞাপুর-গোপালপুরের জনগণ আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান।

জনগণের চাপের কারণে তফসিল ঘোষণার আগেই চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।

তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘ বিশ্বাস জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

গোপালপুর-ভূঞাপুর আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা উপহার দিব।

এই দুই উপজেলাকে স্মার্ট, মডেল ও সন্ত্রাসমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি জানান, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদত্যাগের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাবর আবেদন করেন।

পরে মন্ত্রণালয় পদত্যাগ গ্রহণ করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলার পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।