যে কারণে দেলদুয়ারের গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক!!

পূর্ণিমার মৃত্যু নিয়ে রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :  টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পূর্ণিমা সূত্রধর (১৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গলায় শাড়ি কাপড় পেঁচানাে অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে দেলদুয়ার থানা পুলিশ।

শনিবার (৬ আগস্ট) বিকালে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরােজপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

গৃহবধুর স্বামী নিলয় সূত্রধর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পূর্ণিমার বাবা মনােরঞ্জন সূত্রধর সেটি মানছেন না।

তার দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড; আর তাই গৃহবধূ পূর্ণিমার মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের।

আরো পড়ুন – ডাকাতির টাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে নিয়ন্ত্রণ হারায় চালক, উল্টে যায় বাস!

জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার পোষনা গ্রামের মনােরঞ্জন সূত্রধরের মেয়ে পূর্ণিমা সূত্রধরের ছয় মাস পূর্বে বিয়ে হয় দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরােজপুর গ্রামের ছানু সূত্রধরের ছেলে নিলয় সূত্রধরে সাথে।

বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী নিলয় পূর্ণিমাকে নির্যাতন করতাে। ঘটনার তিন দিন আগেও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে এই গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে যায়।

শুক্রবার ( ৫ আগস্ট) স্বামী নিলয় তার স্ত্রীকে নিজ বাড়ি পিরােজপুরে নিয়ে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় গলায় শাড়ি কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পূর্ণিমার বাবা মনােরঞ্জন সূত্রধর জানান, ঘটনার তিন দিন আগে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে পূর্ণিমা আমার বাড়ি চলে আসে।

শুক্রবার স্বামী নিলয় এসে পূর্ণিমাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়; যাওয়ার সময় পূর্ণিমা বারবার বলছিল “বাবা আমাকে ওখানে পাঠাইও না” পরে আমি মেয়েকে বুঝিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠাই।

আরো পড়ুন – সাগরদিঘিতে মানববন্ধনে চেয়ারম্যানের হামলা অভিযোগ, সংঘর্ষ-ভাঙচুর, পুলিশের গুলি-টিয়ারশেল

তিনি আরো জানান, নিলয় ও তার পরিবারের লােকজন আমার মেয়ের গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।

দেলদুয়ার থানার উপ-পরিদর্শক মাে. মামুন মিয়া জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।

তবে ওই গৃহবধূর বাবা ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন।

তিনি আরো জানান, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানাে হয়েছে।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই

তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বুঝা যাবে ঘটনাটি হত্যা না, আত্মহত্যা। সম্পাদনা – অলক কুমার