প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণ ও শারীরিক নির্যাতনে পর ধর্ষণ

ক্লু-লেস ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন

ধর্ষক গ্রেপ্তার

কালিহাতী প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া গ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে অপহরণের পর পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আল আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, পাইকড়া ইউনিয়নের সিংহটিয়া গ্রামের পিতৃহীন কিশোরী (১৫) গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে প্রতিবেশি আলতাফ আলীর ছেলে আল আমিন (৩০) ও আজিজুলের ছেলে সিএনজি চালক শহিদুল (২৫) সহ ৩-৪ যুবক অপহরণ করে।

আরো পড়ুন – কুমিল্লা থেকে অপহৃত ব্যক্তি টাঙ্গাইলে উদ্ধার, ৮ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

পরদিন শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে মৃত্যুর খবর পেয়ে কিশোরীর মা পাশের পৌজান বাজারের কাছে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।

এসময় মেয়েটির ডান হাত ভাঙা ও এলোমেলো অবস্থায় নদীর পাশে পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জেনারেল হাসপাতালের একজন কনসালটেন্টকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান আজাদ জানান, ওই কিশোরীর চিকিৎসায় তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

যৌন নিগ্রহের ঘটনা হলেও হাত-পায়ে গুরুতর আঘাত থাকায় তাকে হাসপাতালের ৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

মেডিকেল টিম দায়িত্বের সঙ্গে অসহায় কিশোরীর চিকিৎসা নিশ্চিত করছে। থানা পুলিশ এসে কিশোরীর জবানবন্দি নিয়ে গেছে।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে ওই কিশোরীর বড় বোন বাদি হয়ে অপহরণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন – গাড়ী চালকের বিরুদ্ধে তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

মামলাটি এসআই সুমী সিকদার তদন্ত করছেন। তিনি হাসপাতালে গিয়ে ওই কিশোরী ও তার মা-বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন।

অভিযুক্ত আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার