নতুন বই দেয়ার কথা বলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা কৌশলে টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সন্তোষ রাণী দিনমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই দেওয়ার আগে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, নতুন বছরের বই দেওয়ার নামে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

অপর দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, আয়া, পিয়ন ও দপ্তরিদের বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

নানা কৌশলে টাকা নেওয়া বন্ধ ও যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

শনিবার সরেজমিন বিদ্যালয়গুলো ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যালয়গুলোতে বই বিতরণ করা হচ্ছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

বিষয়টি অভিভাবকদের কাউকে না বলার অনুরোধ করেন শিক্ষকরা।

সন্তোষ রাণী দিনমনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরাই বই বিতরণ করেন; এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ২০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

এছাড়াও যারা না দিয়েছে তাদের রোববার ও সোমবারের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেছেন শিক্ষকরা।

বিষয়টি অভিভাবকদের কাউকে না বলার জন্যও অনুরোধ করেন শিক্ষকরা।

রাণী দিনমনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুইশ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

যে টাকা দিতে রাজি হয়নি, সেই অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগও রয়েছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

প্রধান শিক্ষক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য –

টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তছলিমা জাহান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৮৫৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আয়া, পিয়ন ও দপ্তরিদের বেতনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০ টাকা থেকে আদায় করা হচ্ছে; কারও যদি সামর্থ না থাকে তাকে জোর করা হচ্ছে না।

রাণী দিনমনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সামিনা পারভীন বলেন, আয়া, পিয়ন ও দপ্তরিদের বেতনের জন্য ২০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি জানি না; তবে টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। সম্পাদনা – অলক কুমার