নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের দূর্নীতি; জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা কার্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ  উঠেছে। ১২’শ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন করে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা পেতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ওইসব কাডের্র টাকা উত্তোলনের সময় তাদের নিকট থেকে নগদ ২’শ টাকা করে নেয়া হয়েছে।

এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গত ২০ মে পাকুটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য আসা লোকজনের কাছ থেকে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নগদ ২’শ করে টাকা নেয়া হয়।অনেকেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় সৃষ্টি হয় কলহের।

বিষয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম খান জানতে পেরে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলামকে অবগত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমানকে, অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নেওয়া টাকাগুলো ফেরত দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পরে সামান্য কিছু লোকের টাকা ফেরত দিলেও, অধিকাংশ অসহায় মানুষদের টাকা ফেরত দেয়নি ওই চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, আমি পরিষদে ছিলাম না। গ্রাম পুলিশরা দু’এক জনের নিটক থেকে ১’শ দু’শ করে  টাকা নিয়েছিল। পরে আমি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে টাকা ফেরত দিয়েছি।

টাকা কালেকশন করা গ্রাম পুলিশ জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই টাকা নেওয়া হয়েছিলো, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নির্দেশে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে যাই এবং যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়ানো হয়। তখন সেখানে উপস্থিত অভিযোগকারী শামীম উনার অভিযোগ তুলে নেন। পরবর্তীতে জানতে পারলাম এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।