পরকীয়ার বলি দিনমজুর সবেদ আলী, স্ত্রীর স্বীকারোক্তি

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দিনমজুর সবেদ আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার সবেদ আলীর স্ত্রী সুজেদা বেগম (৪০)কে ইতোমধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে; তবে এখনও অধরা এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি সুজেদা বেগমের কথিত প্রেমিক আফসার আলী।

এদিকে এই খুনের নেপথ্যের মূল কারণ স্ত্রীর পরকিয়া। আর পরকিয়া প্রেমিক আফসার আলী ঘটিয়েছে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড।

এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহালুল খান বাহার।

পুলিশ জানায়, নিহত সবেদের স্ত্রী সুজেদা বেগম (৪০) প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত না থাকলেও হত্যা পরিকল্পনায় তার সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে সে তার বয়ানে বলেছে।

তার দেয়া তথ্যে বেড়িয়ে এসেছে পরকিয়া প্রেমিক আফসারের নাম। আফসার চারাবাগ গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে।

দিনমজুর সবেদ আলীর ‘কিলিং মিশনে’ সুজেদা বেগমের প্রেমিক আফসার ব্যতীত অন্য করো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা পুলিশ তাও তদন্ত করা হচ্ছে।

নাগরপুর থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, গত ৫ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের চারাবাগ গ্রামের পরশ আলীর পুকুর থেকে দিনমজুর সবেদ আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই দিনই নিহত সবেদের ছেলে আ. রহিম অজ্ঞাত নামা আসামি দিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিন বিকেলে ক্লু-লেস এ হত্যা মামলায় পুলিশ সবেদের স্ত্রী সুজেদাকে গ্রেফতার করে। পরদিন শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সামছুল আলম ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ মামলার একমাত্র হোতা আফসার আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান ওসি আনিসুর রহমান।

প্রসঙ্গত: দুই সন্তানের জনক সবেদ আলী বিয়ের পর থেকে চারাবাগ গ্রামে তার মামা শশুর রাইজুদ্দীনের বাড়ীতে বসবাস করতেন।

স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তার স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা ছিলনা। সম্পাদনা – অলক কুমার