মোহতামীম ও সভাপতির বিরোদ্ধে নানা অভিযোগ

পরীক্ষার নামে মাদ্রাসা শিশুদের সাথে প্রতারণা!

পরীক্ষার নামে মাদ্রাসা শিশুদের সাথে প্রতারণা!

কালিহাতী  সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বেড়ী পটল এলাকার “শরীইয়্যা নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও মাদ্রাসার তহবিল তসরুপের অভিযোগ ওঠেছে।

অভিযোগগুলো উঠেছে ওই মাদ্রাসার মোহতামীম, সভাপতি ও একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বর মাসে নূরানী তা’লীমুল কুরআান বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) অধীনে তৃতীয় শ্রেণীর ৪২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে বোর্ড ফি’র নামে ৫৫০ টাকা করে আদায় করেন।

তাদের মধ্য থেকে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর নামে বোর্ডে প্রেরণ করে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ সম্পন্ন করেন।

অপর ১৮ জনের কাছ থেকে বোর্ড ফি’র নামে ৫৫০ টাকা করে আদায় করলেও ওই টাকা মাদ্রাসার মোহতামীম মো. ইউসুফ আলী, সভাপতি মো আব্দুল গফুর, মো. মুনির হোসেন ও মো. ইসরাইল হোসেন আত্মসাত করেছেন বলে ওই সকল ছাত্র অভিভাবক ও এলাকাবাসী টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, স্পর্শকাতর একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে কোমলমতি শিশুদের সাথে প্রতারণা করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ১৮ জন শিক্ষার্থীর সাথে ভূয়া রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ, পরীক্ষা গ্রহণ এমনকি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট দেখিয়ে প্রতারণার অভিনব কৌশল করেছেন।

এছাড়াও ওই মাদ্রাসার মোহতামীম, সভাপতি ও তাদের সহযোগীদের নিয়ে মাদ্রাসার লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ আছে।

অভিভাবকদের কথা –

মাদ্রাসার মোহতামীম, সভাপতি অন্যান্যদের কোমলমতি শিশুদের সাথে পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও তহবিল তসরুপের দায়ে সুস্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন ভূক্তভোগী অভিভাবকরা।

ওই মাদ্রাসার ভুক্তভোগী অভিভাবক মো. জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ার প্রামাণিক, আ. মান্নান, আ. করিম, আ. আজিজ, শাহ আলম ফরিদুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতি এমন অধর্মের কাজ করতে পারে; আমরা ভুলেও কল্পনা করতে পারি নাই।

সাধারণ মানুষ আলেম ওলামাদের বিশ্বাস করেন, সম্মান করেন। ওরা আমাদের বিশ্বাসের উপর আঘাত করেছেন; আমরা ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ধর্মের লেবাসে আলেম নামের কতিপয় ব্যক্তির ন্যাক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা ফুঁসে উঠেছেন।

প্রায় আটশত কোমলমতি শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত ওই দ্বীনি শিক্ষাঙ্গনে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –

এবিষয়ে ওই মাদ্রাসার মোহতামীম মো. ইউসুফ আলী বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, তবে ওই সময়ে আমি মোহতামীমের দায়িত্বে ছিলাম না।

পূর্ববর্তী মোহতামীমের সময় ওই দূর্ঘটনা ঘটেছে; তখন আমরা ওই সকল অভিভাবকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। সম্পাদনা – অলক কুমার