গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ট্রাক ড্রাইভার! অতঃপর

প্রবাসীর স্ত্রী হত্যা

বাসাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইলে মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে লিমা আক্তার (৩০) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের নথখোলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় প্রতিবেশী ট্রাক চালক ওয়াসিম (৩৮)কে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

নিহত লিমা আক্তার ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী ময়নাল হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত ওয়াসিম প্রতিবেশী ফজল মিয়ার ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, লিমার স্বামী ময়নাল দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। এজন্য লিমা তার চার বছরের এক শিশু ছেলেকে নিয়ে একাই ঘরে থাকতেন।

প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে লিমা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে লিমার আত্মচিৎকারে শ্বশুর জোয়াহের এগিয়ে আসলে ঘর থেকে ওয়াসিমকে বের হয়ে যেতে দেখেন।

খবরবাংলা

পরে শ্বশুর ঘরে ঢুকে লিমার মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান; সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ওয়াসিম পলাতক রয়েছে। তাকে খুঁজতে পুলিশ একাধিকবার তার বাড়িতে গিয়েও পায়নি। এজন্য সন্দেহ আরও গভীর হয়।

কি কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, পুলিশ এখনও তা শনাক্ত করতে পারেনি। স্থানীয়দের ধারণা- পারিবারিক দ্বন্দ্ব, চুরি বা পরকিয়ার কারণে এই হত্যাটি ঘটতে পারে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন খান বলেন, ‘ঘর থেকে বের হতে সময় নিহতের শ্বশুর ওয়াসিমকে দেখেছে; ধারণা করা হচ্ছে- পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা টাকা চুরি করতে বাঁধা দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’

খবর বাংলা

লিমার শাশুড়ী ভানু বেগম বলেন, ‘ঘরে ঢুকে ওয়াসিম আমার ছেলের বউকে হত্যা করেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিমকে আমার স্বামী দেখেছেন।

এসময় লিমার পাশে ইট পড়েছিল আর মাথায় দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ইট দিয়ে তার মাথায় মেরে খুন করেছে।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় অভিযুক্ত ওয়াসিমকে প্রধান ও একমাত্র আসামী করে মামলা করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সম্পাদনা – অলক কুমার