মাদকের টাকার জন্য বিপ্লবকে জবাই করে হত্যা করা হয়

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব মিয়া (১৫) হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী সাগর মিয়া আদালতে স্বাীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

সোমবার টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস তার জবানবন্দি রের্কড করেন। পরে তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠনো হয়।

এদিকে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের দেড় মাসের মাথায় এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মুল হোতা ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৪ ঘাতকের মধ্যে ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এর আগে এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল ঢাকার বিভিন্ন স্পট ও সাতক্ষীরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাগর এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।

সাগর মিয়া (১৯) নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হচ্ছে একই গ্রামের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২২) ও শেওরাইল গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫)।

স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে সাগর হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে জানান, মাদকের টাকা নিয়ে বিপ্লবের সাথে আসাদুল ও ছানোয়ার হোসেন দ্বন্দ্ব ছিল। আর সাগরের সাথে বিপ্লবের পূর্ব বিরোধ ছিল। একারণেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ৪ জন মিলে বিপ্লবকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘাতক সাগরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ছুরি তার বাড়ীর সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গতঃ নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের উজ্জল মিয়ার ছেলে মো. বিপ্লব মিয়া (১৫) কে গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যায় ঘাতকরা পরে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে বিপ্লবকে হত্যা করে ধুবরিয়া কুষ্টিয়া বিলে পাড়ে লাশ ফেলে রাখে।